পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১. পরিকল্পনা কী?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ভবিষ্যতে কোন কাজ কে করবে, কীভাবে করবে, কখন করবে, কতটুকু সময়ের মধ্যে করা হবে প্রভৃতি আগেই নির্ধারণ করার কর্মসূচি বা নকশা প্রণয়নের কাজকে পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২. পরিকল্পনার নমনীয়তা কী?
উত্তর: পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার সুযোগ রাখাকে পরিকল্পনার নমনীয়তা বলা হয়।

প্রশ্ন-৩. উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: উদ্দেশ্য হলো চূড়ান্ত ফল, যেটিকে ঘিরে প্রতিষ্ঠানের সব কাজ পরিচালিত হয়। যেমন: ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা।

প্রশ্ন-৪. বাজেট কী?
উত্তর: পরিকল্পনার সংখ্যাত্মক প্রকাশকে বাজেট বলে।
পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-৫. মিশন কী?
উত্তর: মিশন হলো স্বল্পমেয়াদি ও অর্জনযোগ্য লক্ষ্য, যা প্রতিষ্ঠানের কোনো সুনির্দিষ্ট ও মৌলিক কাজকে চিহ্নিত করে।

প্রশ্ন-৬. রণনৈতিক লক্ষ্য
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকগণ প্রতিষ্ঠানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি যে পরিকল্পনা প্রণয়ন, লক্ষ্য নির্ধারণ ও নীতিমালা প্রণয়ন করেন, তাকে রণনৈতিক লক্ষ্য বলে।

প্রশ্ন-৭. কৌশলগত লক্ষ্য কী?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের মধ্য পর্যায়ের ব্যবস্থাপকগণ রণনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেন; তাকে কৌশলগত লক্ষ্য বলে। পরিকল্পনা প্রণয়নের ধাপ

প্রশ্ন-৮. পরিকল্পনার আঙিনা কী?
উত্তর: পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে এমন সব অবস্থা ও উপাদান বিবেচনা করে ক্ষেত্র নির্ধারণ করাই হলো পরিকল্পনার আধিনা।

প্রশ্ন-৯. SWOT বিশ্লেষণ কী?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের শক্তি (S) ও দুর্বলতা (W) এবং সুযোগ-সুবিধা (O) ও ভীতিসমূহ (T) যাচাই-বাছাই করে কোনো নেওয়া বা সমস্যা সমাধান করাকে SWOT বিশ্লেষণ বলে।

প্রশ্ন-১০. SWOT-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: SWOT-এর পূর্ণরূপ হলো- S.Strengths; W-Weaknesses; O-Opportunities; T-Threats

প্রশ্ন-১১, লক্ষ্য কী?
উত্তর: কোনো কাজের প্রত্যাশিত ফলই হলো লক্ষ্য।

প্রশ্ন-১২, স্থায়ী পরিকল্পনা কী?
উত্তর: যে পরিকল্পনা একবার নির্ধারণ করার পর বারবার ব্যবহার করা হয়, তাকে স্থায়ী পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-১৩. প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: কাজ সম্পাদনে পারস্পরিক নির্ভরশীল ও ধারাবাহিক কাজের সমষ্টিকে প্রক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১৪. পদ্ধতি কী?
উত্তর: কোনো কাজ সম্পাদনের জন্য নেওয়া নির্দিষ্ট নিয়ম বা নির্দেশনাকে পদ্ধতি বলা হয়।

প্রশ্ন-১৫ কৌশল কী?
উত্তর: পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনাকে মোকাবিলা করার জন্য গৃহীত নীতিকে কৌশল বলে।

প্রশ্ন-১৬. বিধি কী?

উত্তর: বিধি হলো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নির্ধারিত নিয়ম-কানুন, যেসব আগেই নির্ধারণ করা হয় এবং যেগুলোর আলোকে সামগ্রিক কাজ পরিচালিত হয়।

প্রশ্ন-১৭. একার্থক পরিকল্পনা কী?

উত্তর: যে পরিকল্পনা একবার মাত্র ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়, তাকে একার্থক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-১৮. পৌনঃপুনিক সমস্যা কী?
উত্তর: বারবার বা প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তাকে পৌনঃপুনিক সমস্যা বলে 

প্রশ্ন-১৯. কর্মসূচি কী?
উত্তর: কোনো বিশেষ বা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে বড় ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়, তাকে কর্মসূচি বলা হয়। যেমন খাবার পানিতে আর্সেনিক দূষণ রোধ করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপকে কর্মসূচি বলা যায়।

প্রশ্ন ২০. প্রকল্প কী?
উত্তর: কোনো কর্মসূচির অধীনে বিশেষ কাজ করার প্রতিটি পরিকল্পনাকে প্রকল্প বলে। যেমন: পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য নদী খননের কাজকে প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।

প্রশ্ন-২১. প্রকল্প কোন ধরনের পরিকল্পনা?
উত্তর: প্রকল্প হলো একার্থক পরিকল্পনা।

প্রশ্ন-২২. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কী?
উত্তর: পাঁচ বছরের বেশি সময়ের জন্য শীর্ষ নির্বাহীর মাধ্যমে নেওয়া পরিকল্পনাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২৩. মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা কী?
উত্তর: যে পরিকল্পনার সময়কাল সাধারণত এক বছরের বেশি এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে, তাকে মধ্যমেয়াদি অন্তর্বর্তীকালীন পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২৪. স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা কী?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্রে সাধারণত দৈনন্দিন কাজ সম্পাদনের জন্য এক বছর বা এর কম সময়ের জন্য যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, তাকে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২৫. রণনৈতিক পরিকল্পনা কী?
উত্তর: বর্তমান তাঁর প্রতিযোগিতামূলক বাজারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি যেসব পরিকল্পনা করা হয়, তাকে রণনৈতিক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২৬. কার্যভিত্তিক পরিকল্পনা কী?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের মধ্য ও নিম্ন পর্যায়ের নির্বাহীগণ তাদের বিভাগ সংশ্লিষ্ট কাজ করার জন্য স্বল্পমেয়াদি যে কার্যক্রম নেন, তাকে কার্যভিত্তিক বা কর্মকেন্দ্রিক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২৭. বিভাগীয় পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ পরিচালনা ও নিষ্ঠা বিভাগের লক্ষ্য অর্জনের জন্য আলাদা কার্যক্রম প্রণয়ন করা হলে, তাকে বিভাগীয় পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২৮. আঞ্চলিক পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তর: দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা নেওয়া হলে, তাকে আঞ্চলিক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২৯. সামগ্রিক পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগ বা শাখার পরিকল্পনাকে একত্র করে যে অভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া
তাকে সামগ্রিক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-৩০. উৎপাদন পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল রাখার জন্য যে কার্যক্রম নেওয়া হয়, তাকে উৎপাদন পরিকল্পনা হয়, তাকে উৎপাদন পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-৩১. আর্থিক পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের অর্থসংক্রান্ত বিষয়াদি (মূলধনের উৎস নির্ধারণ, মূলধনের পরিমাণ নির্ধারণ, লভ্যাংশ নীতি প্রভৃতি) নিয়ে যে কার্যক্রম নেওয়া হয়, তাকে আর্থিক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-৩২. আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, তাকে আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-৩৩. অনানুষ্ঠানিক পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি না মেনে ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে যে পরিকল্পনা প্রণীত হয়, তাকে অনানুষ্ঠানিক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-৩৪. মানবসম্পদ পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তর: প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ চিহ্নিতকরণ, সংগ্রহ ও নির্বাচন এবং নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের উন্নয়নের জন্য প্রণী পরিকল্পনা হলো মানবসম্পদ পরিকল্পনা।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url