শেয়ারের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধা
শেয়ার কাকে বলে?
Share ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হলো অংশ। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধনের এক একটি অংশকে শেয়ার বলে। যৌথ মূলধনী কোম্পানির অনুমোদিত মূলধনকে অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমান অংশে বিভক্ত করা হলে বিভাজিত এক একটি অংশকে শেয়ার বলে।
যুক্তরাজ্য, ভারত ও বাংলাদেশসহ অনেক দেশে এটি শেয়ার নামে পরিচিত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশে একে বলা হয় স্টক। শেয়ারের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীকে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। একে শেয়ার সার্টিফিকেট বলে।
১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২ (১-৪) ধারায়,
শেয়ার বলতে কোম্পানির মূলধনের কোন অংশকে বুঝাবে এবং বাস্ত বা অব্যক্তভাবে কোনো স্টক বা শেয়ারের পার্থক্য প্রকাশ পেলে সে স্টক ব্যতীত অন্যান্য স্টকও সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
যারা শেয়ার ক্রয় করে তাদেরকে শেয়ারহোল্ডার বা স্টকহোল্ডার বলে। তারা কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ পেয়ে থাকে যা স্টক বোনাস ও ক্যাশ ডিভিডেন্ট আকারে দেয়া হয়। শেয়ারের একটি নির্দিষ্ট অভিহিত মূল্য থাকে, যা সাধারণত ১০ টাকা হয়ে থাকে। শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার ক্রয় করে যেমন কারবারের আংশিক মালিকানা লাভ করে, তেমনি তারা আবার ঝুঁকিও বহন করে।
শেয়ারের প্রকারভেদ| Classification of Shares
শেয়ার (Share) অর্থ অংশ বা হিস্যা বা ভাগ। পুঁজিবাজারে শেয়ার বলতে একটি কোম্পানির মালিকানার অংশ বিশেষকে বোঝায়। প্রাইভেট ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মূলধন অনেক ইউনিটে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি ইউনিট একটি শেয়ার। শেয়ারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—
১. প্রাথমিক শেয়ার (Primary Share): কোনো কোম্পানি বাজারে প্রথম IPO (Initial Public Offering) এর মাধ্যমে যে শেয়ারবাজারে ছাড়ে তাকে প্রাথমিক বা প্রাইমারি শেয়ার বলে। ফেস ভেলার ভিত্তিতে এসব শেয়ার ক্রয় - বিক্রয় হয়। যেকোনো নাগরিক স্টক এক্সচেঞ্জের BO (Beneficiary Owners) হিসাব খোলার মাধ্যমে প্রাথমিক শেয়ার ক্রয়ের আবেদন করতে পারেন।
২. মাধ্যমিক শেয়ার (Secondary Share): প্রাথমিক শেয়ারের মালিকরা যখন তাদের শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে বিক্রি করে তখন তা মাধ্যমিক শেয়ারে রূপান্তরিত হয়। মাধ্যমিক শেয়ার ক্রয় - বিক্রয়ে মাধ্যমিক শেয়ারবাজার গড়ে ওঠে। এ বাজারই শেয়ারবাজারের প্রাণকেন্দ্র। এ বাজারে মার্কেট চলাকালে শেয়ারের মূল্য ওঠানামা করে। মাধ্যমিক শেয়ারবাজারই মূলত স্টক এক্সচেঞ্জ বলে পরিচিত। শেয়ারবাজারের মূল্যসূচকের উত্থান - পতনের জন্য শেয়ারের-
১. চাহিদা ও যোগান
২. বাণিজ্য চক্র
৩. সুদের হার
৪ তারল্য
৫. ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
৬. মুদ্রানীতি
৭ রাজস্বনীতি ইত্যাদি কারণ জড়িত থাকে।
তাছাড়া যৌথ মূলধনী কোম্পানির স্বার্থ, মূলধনের প্রবৃদ্ধি, শেয়ার মালিকগণের পছন্দ - অপছন্দ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে কোম্পানি বিভিন্ন প্রকারের শেয়ার ইস্যু করে থাকে। নিচে
শেয়ারের শ্রেণিবিভাগ
১. সাধারণ শেয়ার (Ordinary Share): যে শেয়ারের মালিক মুনাফা ও মূলধন এর ব্যাপারে কোনো বিশেষ সুবিধা পায় না তাকে সাধারণ শেয়ার বলে এ শেয়ারের বৈশিষ্ট্য হলো-
ক. এ শেয়ারের মালিকরা অনির্ধারিত হারে মুনাফা ভোগ করে এবং তাদের ভোটাধিকার আছে।
খ. এ শেয়ার মালিকদের মধ্য থেকেই পরিচালকবৃন্দ নির্বাচিত হন এবং তারাই কোম্পানির প্রকৃত মালিক।
গ. লভ্যাংশ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার যুক্ত শেয়ার মালিকদের নির্দিষ্ট লভ্যাংশ বিতরণের পর কোনো মুনাফা উদ্বৃত্ত থাকলেই সাধারণ শেয়ার মালিকগণ লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন।
২. অগ্রাধিকার শেয়ার (Preference Share): যে শেয়ারের মালিকরা যৌথমূলধনী কোম্পানির মুনাফা ও মূলধন ফেরতের ব্যাপারে অগ্রাধিকার পায় তাকে অগ্রাধিকার শেয়ার বলে। কোম্পানি অবসায়নের সময় এবং মূলধন ফেরতের বেলায়ও তারা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। অগ্রাধিকার শেয়ার বিভিন্ন প্রকার হয়। যেমন-
ক. অপরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার (Non-redeemable preference Share): যে অগ্রাধিকার শেয়ারের মূলধন একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ফেরত দেয়া হয় না তাকে অপরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
খ. সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার (Cumulative preference Share): কোম্পানির কোনো বছর মুনাফা না হলে এরপ শেয়ারের মালিকগণের নির্দিষ্ট লভ্যাংশের দাবি শেষ হয় না। পরবর্তী কয়েক বছরের মুনাফা থেকে বকেয়া লভ্যাংশ আদায় করার অধিকার তাদের থাকে।
গ. অসায়ী অগ্রাধিকার শেয়ার (Non -cumulative preference Share): কোম্পানির মুনাফা না হওয়ায় শেয়ারের মালিকগণকে কোনো বছর নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পেতে বঞ্চিত হলে পরবর্তী কোনো বছরের মুনাফা থেকে তাদের এ দাবি পূরণ করা হয় না।
ঘ. পরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার (Redeemable preference Share): যে শেয়ারের মূল্য নির্দিষ্ট সময় শেষে মালিককে ফেরত দেয়া হয়, তাকে পরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার বলে। এটি ঋণের পর্যায়েই পড়ে। এ ধরনের ঋণ ফেরতের নিয়ম হলো—
১. এর বিপরীতে মুনাফার অংশ সঞ্চয় করে;
২. মূলধনী মুনাফা থেকে পরিশোধ করে এবং
৩. স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করে।
ঙ. অতিরিক্ত মুনাফায় অংশগ্রহণকারী অগ্রাধিকার শেয়ার (Participative preference Share): যে শেয়ারের মালিকগণ সাধারণ অগ্রাধিকার শেয়ারের মালিকদের ন্যায় নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাওয়ার পর সাধারণ শেয়ারের মালিকদের সাথে পুনরায় কোম্পানির উদ্বৃত্ত মুনাফার অংশও পেয়ে থাকে; তাকে অতিরিক্ত মুনাফায় অংশগ্রহণকারী অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
৩. বিলম্বিত শেয়ার (Deferred Share): অগ্রাধিকার ও সাধারণ শেয়ারের লভ্যাংশ ও মূলধনের অর্থ ফেরত দেয়ার পর যে শেয়ারের লভ্যাংশ ও মূলধন ফেরত দেয়া হয়, তাকে বিলম্বিত শেয়ার বলে। একে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। সাধারণত কোম্পানি প্রবর্তকরা এ ধরনের শেয়ার ক্রয় করে থাকে বলে এগুলোকে প্রবর্তকদের শেয়ারও বলে । বিলম্বে এ প্রকার শেয়ারের ওপর লভ্যাংশ পরিশোধিত হয় বলে এগুলোকে বিলম্বিত শেয়ারও বলা হয়। এ শেয়ারের বৈশিষ্ট্য:
ক. অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডার ও সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদেরকে লভ্যাংশ দেয়ার পর লভ্যাংশ উদ্ভূক্ত থাকলে তা এ প্রকার শেয়ারের মালিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়ার পর লভ্যাংশ উদ্বৃত্ত না থাকলে তারা কোনো লভ্যাংশ পায় না।
খ. যে বছর বেশি মুনাফা হয়, সে বছর তারা বেশি লভ্যাংশ পেয়ে থাকে।
গ. এ শেয়ার সাধারণ জনগণের মধ্যে বণ্টন করা হয় না এবং এদের বণ্টন সংস্থাপকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
৪. বোনাস শেয়ার (Bonus Share): কোম্পানি সঞ্চয়ী তহবিলে প্রচুর অর্থ জমা হলে তা থকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে অর্থ পরিচালকদের সাধারণ সভায় সিদ্ধান্তক্রমে অতিরিক্ত শেয়ার হিসেবে পুরাতন শেয়ার মালিকদের মধ্যে বিতরণ করে তাকে বোনাস শেয়ার বলে। অর্থাৎ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের প্রাপ্য লভ্যাংশের বিনিময়ে তাদেরকে যে পূর্ণ আদায়ী শেয়ার বণ্টন করা হয় তাকে অধিবৃত্তি বা বোনাস শেয়ার বলে। এ শেয়ারের মূল্য পরিশোধ করতে হয় না। অনেক সময় কোম্পানির মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ সদস্যদের মধ্যে বণ্টন না করে কিয়দংশ মূলধন হিসেবে ব্যবহার করার জন্য কারবারে রেখে দেয় এবং তার বিনিময়ে শেয়ারহোল্ডারদের ভেতর বোনাস শেয়ার বণ্টন করে।
৫. রাইট শেয়ার (Right Share): কোনো কোম্পানির পরিমেয় নিয়মাবলিতে ভবিষ্যতে বিলিযোগ্য শেয়ারসমূহ বর্তমান শেয়ার মালিকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে বলে উল্লেখ থাকলে তাকে অধিকারযোগ্য বা রাইট শেয়ার বলে। ভবিষ্যতে মূলধন বাড়াবার প্রয়োজন হলে বর্তমান শেয়ার মালিকদের মধ্যে এ ধরনের শেয়ার ছাড়া হয়। অর্থাৎ রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানি তার পরিশোষিত মূলধন বাড়াতে পারে।
৬. অনাঙ্কিত মূল্য শেয়ার (No per -value Share): যেসব শেয়ারের মূল্য পূর্ব থেকে নির্ধারিত থাকে না, তাকে অনাঙ্কিত মূল্য শেয়ার বলে। বছর শেষে কোম্পানির মোট সম্পদ থেকে যাবতীয় দায় বাদ দিয়ে যে উদ্বৃত্ত থাকে, তাকেই মূলধন ধরা হয় এবং শেয়ারে তা বিভক্ত করে দেয়া হয়।
সাধারণ শেয়ারের বৈশিষ্ট্য| Characteristics of Ordinary Share
সাধারণ শেয়ারের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে; সেগুলো নিম্নরূপ :
১. মালিকানা: কোম্পানির মূলধন সরবরাহের বিভিন্ন পক্ষ থাকলেও সাধারণ শেয়ার হোল্ডাররাই তার মালিক। তাই যারা সাধারণ শেয়ার ক্রয় করে তারাই কোম্পানির মালিক হয়।
২. আয়ের ওপর অধিকার: কোম্পানির বিভিন্ন খরচ ও দায় থাকে। তার আয় থেকে এগুলো বাদ দেয়ার পর যা থাকে তার ওপর কেবল সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের অধিকার জন্মায়।
৩. ভোটদানের অধিকার: প্রত্যেক সাধারণ শেয়ার হোল্ডার একটি করে ভোটের অধিকার ধারণ করে। সে কোম্পানির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভোট দিতে পারে।
৪. পরিচালনায় অংশগ্রহণ: সাধারণ শেয়ার হোল্ডাররাই কোম্পানির পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে থাকে। ভোটাধিকারের ভিত্তিতে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন করা হয় এবং তাদের দ্বারাই কোম্পানি পরিচালিত হয়।
৫. সীমাবদ্ধ দায়: যৌথ মূলধনী কোম্পানির শেয়ার হোন্ডারগণ সীমাবদ্ধ দায় - অধিকার ভোগ করে। এখানে যে শেয়ার হোল্ডার যে পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করে সে কেবল তার জন্যই দায়বদ্ধ থাকে। যেমন— একটি শেয়ারের কাঙ্খিত দাম ১০০ টাকা হলে এবং কেউ তা ক্রয় করলে তার দায় উক্ত ১০০ টাকা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।
৬. সম্পত্তির ওপর অধিকার: কোম্পানি কখনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিংবা বিক্রি হতে পারে। এ অবস্থায় তার যে মূল্য দাঁড়ায় তা থেকে কোম্পানির বিভিন্ন দায় - দেনা পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকবে তার সবটাই শেয়ার মালিকদের প্রাপ্য।
৭. অবসায়নের অধিকার: যৌথ মূলধনী কোম্পানি কখনও কখনও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এ অবস্থায় সাধারণ শেয়ার হোল্ডাররা কোম্পানির অবসায়নের জন্য আবেদন করতে পারে।
৮. হিসাব বহি পরীক্ষা করার অধিকার: সকল শেয়ার হোল্ডারের কোম্পানির হিসাববহি পরীক্ষা করার অধিকার থাকে। তারা কোম্পানির বিভিন্ন কার্যক্রমও পরিদর্শন করতে পারে।
শেয়ারের মাধ্যমে অর্থায়নের সুবিধা| Advantages of Financing Through Shares
কারবারের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের যেসব উৎস রয়েছে তার মধ্যে প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো শেয়ার। যেসব সুবিধার জন্য এ উৎসটি গুরুত্বপূর্ণ তা নিম্নরূপ :
১. স্থায়ী মূলধন: শেয়ার মূলধনের নির্দিষ্ট পরিশোধ মেয়াদকাল নেই। তাই তা স্থায়ী মূলধন হিসেবে গণ্য হয়।
২. অপরিশোধযোগ্য মূলধন: ব্যবসায়ের জন্য কোথাও থেকে মূলধন সংগ্রহ করলে তা নির্দিষ্ট সময়ের পরে পরিশোধযোগ্য। কিন্তু শেয়ার মূলধনই হলো একমাত্র মূলধন যা কোম্পানি যতদিন টিকে থাকে ততদিন তা পরিশোধ করতে হয় না।
৩. ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি: শেয়ার মূলধন দ্বারা ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা বাড়ে। তাই যে কারবারের সাধারণ শেয়ার মূলধন যত বেশি তার ঋণ গ্রহণের ক্ষমতাও তত বেশি।
৪. জামানতবিহীন: কোনো কারবারের জন্য মূলধন নিতে হলে নানা ধরনের জামানত দিতে হয়। কিন্তু শেয়ার মূলধনের ক্ষেত্রে কোনোরূপ জামানতের প্রয়োজন পড়ে না।
৫. দায় শূন্যতা: কারবারের জন্য ঋণ গ্রহণ করলে তার জন্য সুদ দিতে হয়। কিন্তু সাধারণ শেয়ারের ক্ষেত্রে শেয়ার হোল্ডারদেরকে লভ্যাংশ প্রদানের বাধ্যবাধকতা নেই। কোম্পানি লাভ করলে লভ্যাংশ দেয়; অন্যথায় লভ্যাংশ দিতে হয় না।
৬. সহজে মূলধন সংগ্রহ: সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে কোম্পানি অতি সহজে অর্থসংস্থান করতে পারে। সুনাম আছে এমন কোম্পানির পক্ষে এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭. ঝুঁকি হ্রাস: ঋণকৃত মূলধনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে সুদ দিতে হয় বলে সেক্ষেত্রে লাভ না হলে ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণ শেয়ার মূলধনের ক্ষেত্রে লাভ হলে শেয়ার হোল্ডারদেরকে লভ্যাংশ দিতে হয়; আর লাভ না হলে তা দিতে হয় না। এজন্য এক্ষেত্রে শেয়ারের ঝুঁকি কম।